বিদ্যালয়সুফল কর (উচ্চমাধ্যমিক ২০১৫)
'স্কুল' অর্থাৎ 'বিদ্যালয়' এই শব্দটি শুনলেই মানুষের জীবনে বিশেষ করে যারা স্কুলের ছাত্র জীবন পার করে এসেছে, তাদের স্মৃতিতে ধরা দেয় এক দীপ্তিময় দিক ভালোবাসার,হৃদয়ের খুব কাছের। মনের মনিকোঠায় তুলে রাখা স্কুল জীবনের স্মৃতি। নিজের ছোটবেলার স্কুলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সেই পুরনো স্মৃতি প্রতিবারই হাতছানি দিয়ে ডাকে তার মধ্যেই বুঁদ হয়ে থাকতে চাই আমরা।
স্কুলে পড়ার সময় সবার আক্ষেপ "ইসস্! যদি তাড়াতাড়ি বড় হতাম এরকম স্যার ম্যাডামদের বকুনি খেতে হত না আর এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে গেলে পরিণত বয়সে এসে এক গভীর দুঃখের ছাপ ফেলে যায় মনে হয় কেন সেদিন আমি এসব ভেবেছিলাম সেদিনের জীবনটাকে পুরোপুরি উপভোগ করলাম না কেন? এই অনুতাপ কমবেশি সকলের জীবনে হয়।এমনই আমাদের স্কুল কে. কে. হিন্দু একাডেমী। এটা আমাদের কাছে একটি আবেগ, ভালোবাসা। প্রতিটি স্যার ম্যাডামের যত্নের সহিত পড়া বোঝানো থেকে শুরু করে টিফিন টাইমে কাকার দোকানে ঝালমুড়ি, আচার আর স্কুলের মাঠে খেলাধুলোর স্মৃতি এসব একটি ছাত্রের কাছে তুলনারহিত অপরিহার্য। আর পাঁচটি স্কুলেও হয়তো এসব হয় কিন্তু কে.কে.হিন্দুতে পড়া প্রতিটি ছাত্র এটা গর্বের সাথে বলতে পারেন যে তারা এই বিষয়গুলো কিছুটা আলাদা করে বিশেষ করে উপভোগ করেছে ।এর কারণ একটাই কে.কে.হিন্দু একাডেমী শুধু আমাদের তথা ছাত্র দের শিক্ষাই দেয় না শেখায় জীবনশৈলী , কঠিন পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করার সাহস, জীবনকে সহজ করে নেওয়ার পাঠ এবং আরো আরো অনেক কিছু যা স্কুলটাকে ও তার ছাত্রদের বিশেষ করে তোলে । এখানে ছাত্ররা ভবিষ্যতে এমন কিছু সমাজের কাছে অবদান রাখে যা সমাজের তথা মানুষের জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ ।ছাত্রদের ভালোবাসা ,খাঁটি শ্রদ্ধা এবং শিক্ষকদের নিঃস্বার্থ শিক্ষা প্রদান স্কুলটিকে অনেক প্রাণবন্ত করে এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে ।সেটি হল বিদ্যালয় হল একটি মন্দির শুধু পুঁথিগত তথ্য নয় জীবনের যাবতীয় ন্যায় নীতিবোধ বেদসম জ্ঞান তা শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করে এবং ছাত্র দের জীবনের প্রতিযোগিতায় অনেক অনেক এগিয়ে দেয়।
0 Comments
Post a Comment